২০শে মে, ২০২৫ ইং, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

গোদাগাড়ীর লস্করহাটীতে ভিসা দালাল ও সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সৈনিকের হাতে গুরুতর যখম এক নিরিহ গৃহকর্তা

সাফিয়ান স্বাধীন, (গোদাগাড়ী রাজশাহী) :

• রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৮নং বাসুদেবপুর ইউনিয়ন লস্করহাটী গ্রামে এক গৃহকর্তাকে পিটিয়ে গুরুতর যখম করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সৈনিক মোঃমুকুল ও তারই সালোক মোঃ আবুল কাশেম এর বড় ছেলে মোঃ মাসুদ শামীম।বুধবার রাতের শুরু থেকেই  তাদের এই কুকর্ম করার পরিকল্পনা ছিল ,রাত যখন আনুমানিক ৩:৩০ তখন মাসুদ ও মুকুল একত্রে তাদের এলাকার বাসিন্দ মোঃ জালাল আমিন এর বড় ছেলে মোঃ খায়রুল ইসলাম বাবু ওরফে (ট্যারা বাবু)কে তার নিজ বাসা থেকে,একটা ব্যাপারে যুক্তি পরামর্শ করব বলে ডেকে বাইরে নিয়ে যান মাসুদ ও তার দুলাভাই মুকুল,এবং ট্যারা বাবুকে মুকুলের নিজ বাস ভবনের একটি রুমে নেওয়ার পর পাসবিক নির্যাতন চালানো হয়।একপর্যায়ে মারতে মারতে হঠাৎ ভিসা দালাল মাসুদ আর্মি মুকুলকে থামায় এবং বলে,আপনি কিসের চাকরী করছেন,আর্মির চাকরী করেছেন ওকে আর্মি স্টাইলে ভাল ভাবে বাঁধেন।মুকুল তার সালোকের কথা শুনে বাবুকে আর্মিদের রিমান্ড স্টাইলে বাঁধেন,এমন নির্মমতা ও অমানুষিকতা দেখে বাবুর বৌ এক পর্যায়ে মুকুল ওও মাসুদের পা ধরে তবুও তারা ক্ষান্ত হননি।এবং বাবুকে মোটা বাঁশ দিয়ে পিটাতে থাকে।এলাকাবাসী জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে এসে মুকুল ও মাসুদকে নির্যাতন করতে নিষেধ করে কিন্তু তারা কারো কথায় কর্নপাত করেনি। উল্টো এলাকাবাসীর উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার টের পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে মারতে থাকে মাসুদ ও মুকুল।মারতে মারতে মুকুল বাবুকে বলে চিল্লাছিস কেন!এগুলো বাংলা মার না এগুলো আর্মির মার এই মার এর উপর আমি মুকুল ট্রেনিং করেছি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,পুরনো জের ধরে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে বাবাুকে পেটানো হয়েছে।ঘটনাস্থলে থাকা আব্দুল খালেক (পাইকার) বলেন,মাসুদ থামে তখন মুকুল পেটাই, খুব নির্মম অত্যাচার এটা তিনি আরও বলেন যে মানুষ হয়ে কখনো মানুষের উপর এমন অত্যাচার করতে পারে না,ঘটনাস্থলে থাকা আরেক জন সাইদূর রহমান জানান,রাত ৩:৩০ এর সময় পেটাতে শুরু করে এবং ভোর ৬ টাই বাবু ঙ্গান হারিয়ে ফেলে তখন পেটানো বন্ধ হয়েছে। বাবুর অবস্থা খারাপ দেখে ভিসা দালাল মাসুদ  ও আর্মি মুকুল স্থানীয় অটো গাড়ীতে করে গোদাগাড়ী মডেল হাসপাতালের গেটে ফেলে দিয়ে চলে যান বাবুকে।হাসপাতাল কর্তীপক্ষ দেখে বাবুর চিকিৎসা করেন পরে বাবুর পরিবার হাসপাতালে খোঁজ করলে চিকিৎসক বলেন,রুগীর খুব খারাপ অবস্থা স্যালাইন নেয় না রক্তের পালস বোঝা যাচ্চে না,এমতাবস্থায় বাবুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক)হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এখন ও বাবুর ঙ্গান ফেরেনি,খায়রুল ইসলাম বাবু(ট্যারা বাবু) এখন রামেক হাসপাতালের ফ্লোরে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে।
এ ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে,বাদীর মেডিকেল সার্টিফিকেট হাতে পেলে মামলার রুপ দেওয়া হবে। এদের বিরুদ্ধে মানুষ পিটিয়ে মারার আরেকটি মামলা আছে এবং তারা পূর্বেও এমন নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে।আমরা খুব তাড়াতাড়ী অভিযুক্ত আসামী ১নং মাসুদ শামীম ও ২ নং মুকুল কে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন এটা এটেম সম্পূর্ন ভাবে প্রমানিত এদের বিরুদ্ধে এটেম টু মাড্যার ও শারীরিক নির্যাতন সহ পৃথক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লস্করহাটী গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,আর্মি মুকুল ও ভিসা দালাল মাসুদ এর আগেও একই গ্রামের এক গৃহকর্তাকে বিদ্যুৎ এর পোলের সাথে বেঁধে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এবং জেল ও খেটেছে পরে স্থানীয় শালিসে মিমাংসা করে মামলা উঠানো হয়েছে।ভিসা দালাল মাসুদের প্রতিবেশী মোশারফ হোসেন ( মোসা) বলেন মাসুদ উগ্রপন্থী সে টাকার বিনিময়ে বিদেশে লোক পাঠায় এবং প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সে মদ্যপানের আসর জমান,এবং অনথ্যায় মানুষকে গালা গালি ও মারধর করেন। তিনি আরও বলেন ভিসা দালাল মাসুদ আওয়ামীলীগের সাথে সংযুক্ত, সে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। মাসুদ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও স্থানীয় নেতাদের মানহানি ও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

প্রকাশিত: মাদারল্যান্ড ডেস্ক

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ